প্রধানমন্ত্রী চাল আমদানি চান না: কৃষিমন্ত্রী

আমদানি করলে বাজারে চিকন চালের দাম কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তবে চাল আমদানিতে প্রধানমন্ত্রীর সায় মিলছে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (আইএফএডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হ্যামলার্সের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন মন্ত্রী।

কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘চালের দাম বাড়ছে। আমি অবশ্য বলব যে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। ২-১ টাকা কমেছে গত কয়েক দিনে। চিকন চালের দাম বাড়ার দিকে।

চিকন চালের দিকে মানুষের ঝোঁক মারাত্মক। সবাই এখন চিকন চাল খেতে চায়। মোটা চাল মানুষ বিক্রি করে দেয় গরুর খাবার, পশুর খাবারের জন্য। এটা একটা সমস্যা। এত খাবার মজুত আছে; প্রায় ২০ লাখ টন। তারপর উৎপাদনও ভালো হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তখনই সিন্ডিকেট হয় যখন সাপ্লাই কম হয়। গতকাল নওগাঁ-কুষ্টিয়ায় ফুড কন্ট্রোলারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ে নাই, কিন্তু চিকন চালের ঘাটতি রয়েছে। এখন আমরা কী করব। আমরা তো সামনে প্রোগ্রাম নিচ্ছি হাইব্রিড আমরা আরও বাড়াব।’

তিনি বলেন, ‘চালের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল তো আমরা হতে পারব না। সরু চালের উৎপাদন কম। আমাকে এমন উৎপাদন করতে হবে যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আমরা থাকতে পারি।’

মন্ত্রী বলেন, “কিছু আমদানি করলে নিয়ন্ত্রণ হবেই। প্রধানমন্ত্রী তো করতে দিচ্ছেন না। আমদানি করলে হয়তো দাম কিছুটা কমবে। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, ‘আমি তো ১০ টাকা দরে চাল দিচ্ছি, অতি দরিদ্রদের জন্য। আমি বিজিএফ, ওএমএসে চাল দিচ্ছি। গরিব মানুষের তো কোনো সমস্যা নাই।

ধনীরা যারা চাল খেতে চায়, দাম দিয়ে খায়। আমার চাষিদেরও তো দাম পেতে হবে। সরু চালের দামটাই বেশি, মোটা চালের দাম কমতির দিকে। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য যাতে গরিব মানুষের কষ্ট না হয়।’”