‘প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য গুজব’

দীর্ঘ বিরতির পর দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।

এ ধরনের তথ্যকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। যদি কারও কাছে তথ্য থাকে, আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেবো।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরুর পর রাজধানীর ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এত বিরাট সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ তার মধ্যে একটি।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেজন্য শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না। সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সরকার ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

কিন্তু মহামারির কারণে তখন আর পরীক্ষা নেয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক অবসরে গেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক ঘাটতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে।

এ সমস্যার নিরসর করতে পূর্বের বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।