আরো এক প্রতিবন্ধীকে চাকুরি দিলেন নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু 

দু’বছর বয়সে আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই হাতের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেন মোঃ মাসুদুর রহমান। শারীরিক (অক্ষমতা) পঙ্গুত্ব নিয়েই পার করেছে শৈশব-কৈশোর।

এখন সে (৩৫) বছরের টকবগে যুবক। নানা প্রতিকুলতাকে হার মানিয়ে প্রতিবন্ধী মাসুদ পড়াশোনা করেছে নিয়মিত। এরই মধ্য সে মাদ্রাসা লাইন থেকে টাইটেল শেষ করে যশোর এমএম কলেজে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত।

জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউপির চৌঘাটা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মাসুদুর রহমান। লেখাপড়া জানলেও হাতের কারনে কোথাও চাকুরি পাচ্ছেনা সে।

এতে করে আশিঊর্ধ্ব পিতাকে নিয়ে বেশ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে মাসুদুর রহমান। এ বিষয়টি নজরে আসে সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদের। ডেকে পাঠান পরিষদে।

সব কিছু শুনে ইউনিয়ন পরিষদে অফিস সহকারী পদে চাকুরি প্রদান করেন “মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত রাজু আহম্মেদ”। এর আগে ফারুক হোসেন নামের আরেক শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবক’কে তার প্রতিষ্ঠান কাওছার এন্টারপ্রাইজে অফিস সহকারী পদে চাকুরি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে মাসুদুর রহমান কথা বলতে যেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। মাসুদ বলেন” আমার দুই হাত নাই তারপরও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছি, বর্তমানে আমি এমএম কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছি।

আমি একটা চাকুরির জন্য অনেক নেতার দারস্থ হয়েছি, ঘুরেছি বহু দপ্তরে-দপ্তরে। কিন্তু চাকুরি দেওয়া তো দূরের কথা কেউ আমার দুঃখের গল্প টাও শুনতে চাইনা।

সর্বশেষ আমি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ এর শরণাপন্ন হই এবং তাকে আমার দুঃখ দুর্দশার ব্যাপারে খুলে বলি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আমার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এই চাকুরির ব্যবস্থা করে আলহামদুলিল্লাহ আমি খুবই খুশী। এজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ বলেন, এধরনের কাজ আমার এটাই প্রথম না অনেক আছে। আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক প্রতিবন্ধীকে চাকুরি দিয়েছি। তারা সমাজের বোঝা নয়, তাদের পুনর্বাসনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ।

স্থানীয়রা জানান রাজু আহম্মেদ, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বহু আগে থেকে জনকল্যাণে সক্রিয় ভূমিকায় পালণ করে আসছে। এমন মানুষ পাওয়া সত্যি’ই এখন দুস্তর।

নিজ অর্থায়নে এলাকার রাস্তা-ঘাট সংস্কার, টিউবয়েল স্থাপন, মসজিদ-মুন্দিরে অনুদান, দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের বইপুস্তক প্রদান সহ জনকল্যাণ মুখি কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালণ করে চলেছে।