লম্বা ছুটির কারণে বেনাপোল দিয়ে ভারতগামী যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে

ঈদ, মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারনে বেনাপোল স্থল বন্দর এর আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। প্রায় ৮দিন লম্বা ছুটির কারণে বেনাপোল দিয়ে ভারতগামী যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে।

করোনাকালীন সময়ে দুই বছরের অধিক সময় ট্যুরিষ্ট ভিসা বন্ধ থাকার কারনে যাত্রী যাতায়াত ছিল না। এদিকে আমদানি রপ্তানি বন্ধের কারণে বন্দর এলাকা স্থবির থাকলেও পাসপোর্ট যাত্রীদের ভীড়ে সকাল থেকে কোলাহল লেগে আছে। তবে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

শুক্রবার সকাল থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টে পাসপোর্ট যাত্রীরা প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ভীড় জমিয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিস থেকে সাদিপুর রাস্তার ব্রীজ পর্যান্ত দাঁড়িয়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

হিম শিম খাচ্ছে ইমিগ্রেশনে প্রবেশদ্বার বন্দরের আনসার বাহিনী, পিমা সিকুউরিটি ও আর্মস পুলিশ। যাত্রীদের ভিড়ের চাপে লাইনে দাঁড় করিয়ে সিরিয়াল মেন্টেইনে এসব বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল ফি বাবদ ৫০ টাকা চাঁদা নিলেও সেখানে যাত্রীদের কোন সেবা নেই। অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্ক লোক নিয়ে সব থেকে বেশী বিপাকে পড়েছে তাদের সাথে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীরা।

প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড়িয়ে এসব যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তারপর এখানে রয়েছে এক শ্রেনীর দালাল। তারা লাইনের আগে ঢুকিয়ে দেয়ার কথা বলে যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন অংকের টাকা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, ঈদের সরকারী ছুটি ও ভারত দীর্ঘ দিন পর ট্যুরিষ্ট ভিসা ছাড়ায় যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা যাত্রীদের সেবার জন্য দ্রুত কাজ করছে। আগামীতে এ পথে আরো যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে সব মিলিয়ে এই বন্দর ৮ দিন ছুটির কবলে থাকায় আমদানি রপ্তানি বানিজ্যেও কিছুটা প্রভাব ফেলবে। দেশের শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল এর ৮০ শতাংশ আসে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে।

কারণ ভারতের কোলকাতা শহর মাত্র বেনাপোল থেকে ৮০ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় আমদানি কারকরা এ পথে আমদানি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

দীর্ঘ ছুটির কারণে পচনশীল পণ্য ও উৎপাদিত শিল্প কলকারখানার মালামাল না আসলে লোকসান গুনতে হবে শিল্প কলকারখানার মালিকদের বলে জানান, ঢাকার আমদানি কারক লুনা ফ্যাশান এর সত্বাধিকারী কামরুজ্জামান তন্ময়।

ভারতে আটকে থাকা পণ্য নিয়ে ট্রাককে প্রতিদিন ডেমারেজ গুনতে হবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। আবার সেখানেও পণ্য জট লেগে থাকবে এই ছুটির কারনে।

বেনাপোল সিএন্ড এফ এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, লম্বা ছুটির কারণে কিছুটা বানিজ্য ঘাটতি পড়বে উভয় দেশে। কারণ দেশের শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল সময় মত দেশে প্রবেশ করাতে না পারলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের।