ছেলেটির নাম সিজার। জন্মের পর থেকে তার বাবা আর তার সাথে যোগাযোগ না করায় মানসিক ভাবে আস্তে আস্তে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের জয়নাল মেম্বারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাচান দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করছেন।
তিনি পারিবারিক সবার সম্মতিক্রমে প্রথমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও পরবর্তীতে যতটুকু জানা যায়, যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে তালাক দেন। কিন্তু তখন তার একটি বাচ্চা ছিল, এই বাচ্চাটি জন্মের পর থেকে আস্তে আস্তে যখন একটু বুঝতে শিখে দেখে সবার বাবা থাকলেও সিজারের বাবা নেই কেন?
এই প্রশ্ন ধীরে ধীরে তার মস্তিষ্কে আঘাত হানে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে অবুঝ শিশু আস্তে আস্তে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে থাকে এখন প্রায়ই শিশুটি বাবা কে খুঁজতে থাকে।
কাউকে দেখলেই বাবার কথা জিজ্ঞেস করে তার বাবাকে দেখেছে কিনা? শিশুটি জানে তার বাবা দক্ষিণ কোরিয়া থাকে, নতুন কাউকে দেখলেই তার নিকট ছুটে এসে বলে আমার বাবাকে দেখেছো দক্ষিণ কোরিয়া থাকে, আমাকে সাহায্য করো আমার বাবাকে এনে দাও।
অসহায় শিশুটিকে দেখে সবার চোখে পানি চলে আসে। জন্মদাতা পিতা কেন খোঁজ নেয় না! হাজার হোক রক্তের সন্তান, শিশুটি বর্তমানে তার নানি বাড়ি থাকেন। সবার আশা যে করে হোক, তার বাবা শহিদুল ইসলাম হাচান যেন শিশুটির খোঁজ নেয়।
বাচ্চাটিসহ সবার প্রত্যাশা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী দের়় প্রতি বিনীত অনুরোধ, তারা যেন শহিদুল ইসলাম হাচানকে খুঁজে বের করে বুঝিয়ে শুনিয়ে শিশুটির খোঁজ নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।