চীনের ‘জিরো-কোভিড’ কৌশল ‌টেকসই নয়: ডব্লিউএইচও

head of who Tedros Adhanom

করোনার সংক্রমণ কমাতে চীনের ‘জিরো-কোভিড’ কৌশল ‌‘টেকসই’ নয় বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মঙ্গলবার (১০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাসের আচরণ বিবেচনা করে এ নীতি টেকসই হবে না বলে জানায় সংস্থাটি।

এ ধরনের কৌশল গ্রহণে একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রভাবের পাশাপাশি মানুষের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বিবেচনা করাও জরুরি বলে জানায় ডব্লিউএইচও। খবর রয়টার্সের।

শুরু থেকেই করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে চীন। সম্প্রতি দেশটিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে। গেল কয়েক সপ্তাহে বাণিজ্যিক অঞ্চল সাংহাইয়ে লাগামহীনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ওমিক্রন ধরন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোরদার করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ, ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ মানুষ।

বিশ্বের অন্য দেশগুলো যখন এ করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানিয়ে জীবনযাপনের পথে, তখন ভাইরাসটির সংক্রমণ কমাতে ‘জিরো কোভিড’ নীতির দিকেই ঝুঁকছে চীন।

তবে করোনাভাইরাসের আচরণ বিবেচনা করে চীনের এ নীতি টেকসই হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস গেব্রিয়াসুস। এ বিষয়ে চীনের বিশেষজ্ঞ দের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তেদরোস বলেন, ভাইরাসটি সম্পর্কে এখন আমাদের যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। এর গতিপ্রকৃতি বুঝতে পারি। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণও রয়েছে। ফলে অন্য কৌশল অবলম্বন করা উচিত। চীনের বিশেষজ্ঞদের এ কৌশল টেকসই হবে না বলে জানানো হয়েছে। কৌশলগত পরিবর্তন আনা জরুরি।

এ সময় করোনা মোকাবিলায় একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রভাবের পাশাপাশি মানবাধিকারের কথা বিবেচনা করে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানান ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলে আসছি। ব্যক্তি এবং মানুষের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। কোন কাজ সমাজ ও অর্থনীতির ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে তা-ও বিবেচনা করেত হবে।