হেনস্তা নয়, স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা আনতে অভিযান: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

আগামীতে স্বাস্থ্যসেবায় আরও স্বচ্ছতা আসবে, মান আরও ভালো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইতিমধ্যে অভিযান চলছে। আমরা কাউকে হেনস্তা করতে চাচ্ছি না। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যেন দুর্নাম না হয়। যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করবো। যারা অন্যায় করবে তাদের সঙ্গে আমরা নাই। তাদের বিরুদ্ধে আইনত যা ব্যবস্থা আছে সেটা নেওয়া হবে।

বুধবার (০১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েছে প্রায় ১১ হাজারের উপরে। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের অধিদফতর এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত। যারা মানহীন তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, সতর্ক করে দেয়া অথবা তাদেরকে সময় দিয়ে যেসব জায়গা সংশোধন করার প্রয়োজন তা নির্দেশনা দিয়ে ঠিক করা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি থাকে, সেদিকে কঠোর নজর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে অভিযান চলছে। আমরা কাউকে হেনস্তা করতে চাইছি না। মানুষ যেনো প্রতারিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যেখানে অপারেশন হয় সেখানে সঠিক চিকিৎসক, এনেস্থেটিস্ট থাকতে হবে, যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এগুলো যদি না থাকে, সেখানে অপারেশন করতে দেয়া যাবে না। সেদিকে আমরা কঠোর নজর দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের টিকা কর্মসূচি চলমান আছে। সামনে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন আছে। আমি দেশবাসীকে আহ্বান করবো বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়ার জন্য। কিছু অনীহা দেখা যাচ্ছে। আমাদের এখনো ৮ থেকে ১০ কোটি বুস্টার ডোজ দিতে হবে। দুই ডোজ যারা নিয়েছেন চার মাস পর বুস্টার ডোজ নিয়ে নিবেন। আপনারা সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। করোনার যে পরিস্থিতি আছে, সেটি ধরে রাখতে হবে। বুস্টার ডোজ নিলে আরও সুরক্ষিত হবে।

সফলতার সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেন, গত আড়াই বছর যাবত স্বাস্থ্য অধিফতরের প্রত্যেকটি ব্যক্তি ছিল সম্মুখ যোদ্ধা। তাদের অধীনেই বাংলাদেশে করোনা যুদ্ধ হয়েছে।