যশোরে মুক্তিপনের দাবি, অপহৃত উদ্ধার আটক দুই

jessore atok map

৫০ হাজার টাকা মুক্তি পনের দাবিতে লন্ড্রী ব্যবসায়ি মিলনকে (৩৬) অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃত মিলন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শরশুনা বাজারের পশ্চিমে শাজাহান বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে বেজপাড়া তালতলা ছায়াবীথি রোড বাবলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

এ ঘটনায় পুলিশ দুই অপহরনকারিকে আটক ও মিলনকে উদ্ধার করে। আটককৃতরা হচ্ছে শহরের আর এন রোডের আব্দুল ওহাবের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২) আর এন রোড রাঙ্গামাটি গ্যারেজ আবুল কাশেমের ছেলে রনি হোসেন (২৩)। এছাড়া আরো দুইজনসহ অজ্ঞাত নামা ৮/১০ পালিয়ে যায়। পলাতকরা হচ্ছে পশ্চিম বারান্দিপাড়া কদমতলার বাবু (২৬) ও বেজপাড়া মেইন রোডের ফারুকের ছেলে ফাহিদ হাসান (২৪)। আটক ও পলাতকদের বিরুদ্ধে মিলন সোমবার মামলা করেন।

মিলন মামলায় বলেছেন, বেজপাড়া পূজার মাঠের দক্ষিনে ২৬ নং বাড়ির নীচতলায় তার লন্ড্রীর দোকান আছে। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় তিনি দোকানে কাজ করছিলেন। এ সময় দুই মোটর সাইকেলে অজ্ঞাতনামা ৪ জন এসে তার দোকানের মধ্যে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে বারান্দিপাড়া কদমতলা পরিসংখ্যাণ অফিসের পিছনে গলির মধ্যে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে আরো অজ্ঞাত নামা আরো ৮/১০ জন অপহরনকারি মিলনকে ঘিরে ধরে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে প্যান্টের পকেট থেকে ২শ ৫০ টাকা নিয়ে নেয়।

আসামরিা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে খুন ঝখমের হুমকি দেয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মোবাইল ফোন নিয়ে মিলনের পিতা-মাতার কাছে মুক্তি পনের জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য বলে। হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরনকারিরা মিলনের মাথায় বুক পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থনীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শরিফুল ইসলাম (২২) ও রনি হোসেনকে (২৩) আটক করে। এ সময় বাবু (২৬) ও ফাহিদ হাসানসহ (২৪) অজ্ঞাত নামা ৮/১০ অপহরনকারি কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশ অপহৃত মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।