যশোরে মিরাজ হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন, রাজু আটক

বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে মিরাজ হোসেন চয়নকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চৌগাছার মিরাজ হোসেন চয়ন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই যশোরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সাথে তারা হত্যাকারী রাজু হোসেনকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা ও মাইক্রোবাস উদ্ধার
করেছে। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় পৌরসভা গেটের বটতলা মোড় থেকে রাজুকে আটক করা হয়। পরে বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করলে রাজু হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক রাজু হেসেন চৌগাছার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে।
এদিকে পিবিআই ও আদালত সূত্র জানায়, নিহত মিরাজ হোসেন চয়ন ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়ার পাশাপাশি আসামি রাজু হোসেনের কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন। ১২ জুন রাত আটটায় রাজু হোসেন মিরাজ হোসেন চয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দুজনে মাইক্রোবাসে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখতে থাকে। এক পর্যায় রাত ২টায় রাজু ভিকটিম মিরাজ হোসেন চয়নকে বলাৎকারের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় চেষ্টা করে রাজু। মিরাজ হোসেন চয়ন ধস্তাধস্তি করে মাইক্রোবাস থেকে বের হয়ে যায় । এরপর রাজু হোসেন এমনটি আর হবেনা বলে ফের নয়নকে গাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় পর ফের একই কাজ করে রাজু। মিরাজ আবারো বাধা দেয়। এক পর্যায় মিরাজের গলায় গামছা পেচিয়ে ধরে রাজু। ধস্তাধস্তির এক পর্যায় শ্বাসরোধ হয়ে মিরাজ হোসেন চয়নের মৃত্যু হয়। এরপর চয়নের
লাশ বস্তাবন্দি করে রাজু নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে, পরের দিন সকালে মাধবপুর ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সবুজ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবি আই যশোরের এসআই শরীফ এনামুল হক । পরে পরে অভিযান চালিয়ে রাজুকে আটক করে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পিবিআই এর তদন্তে উঠে আসে ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী।