প্লাবিত হচ্ছে যমুনার নিম্নাঞ্চল,পানি বিপৎসীমা ছাড়াতে পারে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও বাড়ছে পানি। এতে ধীরে ধীরে প্লাবিত হচ্ছে যমুনার চর ও নিম্নাঞ্চল।

অপরদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এ সকল এলাকায় পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে নানা জাতের উঠতি ফসল।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রায় ৮ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার পাশাপাশি ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল, হুড়াসগর, ইছামতীসহ চলনবিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা।

অপরদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙন। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যমুনায় যেভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে তাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।