কুসিক নির্বাচন: গেজেট বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন সাক্কু

 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাচ্ছেন মেয়র পদে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

 

এর আগে গেজেট স্থগিত চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে আবেদন করে প্রতিকার না পেয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে সমকালকে জানান। আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন বলে জানান।

 

 

কুসিক নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে হেরে যান সাক্কু।

 

 

সাক্কু কুসিকের টানা দুইবারের সাবেক মেয়র। গত ১৫ জুন কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে তিনি টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

 

কুসিক নির্বাচনে আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হন।

 

 

ওই ফলাফল ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন সাক্কু। গত ২২ জুন তিনি সিটির চারটি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেন।

 

গত ২৩ জুন বিজয়ী মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৯টি সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরদের গেজেট প্রকাশিত হয়।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাক্কু সমকালকে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মেয়র পদে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল একটি একটি করে ঘোষণা করেন। এতে ১০১টি ভোটকেন্দ্রে তিনি (সাক্কু) প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকার প্রার্থীর চেয়ে ৬২৯ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণায় কালক্ষেপণ করে ফল স্থগিত রেখে হঠাৎ করে চারটি কেন্দ্রের (ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ও পুরোনো ভবন ভোটকেন্দ্রে ও শালবন বিহার কেন্দ্র) ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে বেসরকারিভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। চার ভোটকেন্দ্রে ফলাফলের তালিকায় যে স্বাক্ষর ও পিন নম্বর আছে, সেটি তার এজেন্টদের নয়।

 

সাক্কু আরো বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে হয়। তাই আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে যাবো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

সাক্কু বলেন, আমি ওই চারটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলাম। একই সঙ্গে গেজেট স্থগিত করারও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন আমাকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালেই যেতে হচ্ছে।

 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে কোনো অনিয়ম কিংবা কারচুপি হয়নি। ফলাফলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থেকে থাকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু প্রতিকার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন।