রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী

mustafa kamal
ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন দেশে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মতো। আর রিজার্ভ নেই নেই বলা হলেও এখনও রিজার্ভের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখন রিজার্ভ ছিল ছিল ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। পরে তা বেড়ে গত বছর ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( বিবিএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি হলো আগের বছরের একই মাসের চেয়ে পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধির হার। আর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হলো ১২ মাসের হারের গড়। আর সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন এটি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্তে আইএমএফ থেকে ঋণ সহায়তা নেওয়া হবে না। এছাড়া এখনও আইএমএফ বা সরকার কেউই আনুষ্ঠানিক কোনো ঋণ প্রস্তাব দেয়নি। প্রসঙ্গত, আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে।

মুস্তফা কামাল বলেন অনেকের মনে আতঙ্ক বা সংশয় কাজ করে যে, কোন কোন শর্তে রাজি হয়ে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এমন কোনো চুক্তি বা কমিটমেন্ট করবো না, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। দেশের স্বার্থের পরিপন্থি শর্ত থাকলে আমরা ঋণ নেবো না।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ বিভিন্ন সময় কিছু সংস্কার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাদের যেটি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, তা হলো তারা তাদের ঋণের অর্থ সময়মত ফেরত পাবে কি-না। এর আগে আইএমএফ তাদের ঋণের কিস্তি যথাযথ সময়ে পেয়েছে। ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মধ্যে মতপার্থক্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে রিজার্ভের হিসাব করি, সেভাবেই করবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছে। বিভিন্ন দেশে কি হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি এবং তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করছি।