এক পরিবারের ৫ জন অচেতন, বাবা-ছেলের মৃত্যু

 

সিলেটের ওসমানী নগরের তাজপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের ৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি।

 

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করা করা হয়। বিকেল সোয়া তিনটায় সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, ওই পরিবারটি প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী। গত ১২ জুলাই তারা ঢাকায় ফেরে। ১৮ তারিখ ঢাকা থেকে সিলেটে আসে। তাদের গ্রামের বাড়ি ওসমানী নগরের দিরায়তে। ভালো আবাসিক ব্যবস্থা পেতে বাড়ি থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে তাজপুরে বাসা ভাড়া নেন।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মারা যাওয়া দুজন হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬)। আইসিইউতে ভর্তি বাকিরা হলেন, রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ছেলে সাদেকুল (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)।

স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়ির এক রুমে রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-পুত্রসহ পাঁচজন রাতে ঘুমিয়েছিলেন। আরেক রুমে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালকসহ ৪-৫ জন ঘুমিয়েছিলেন। সকালে রফিকুলদের অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-তে কল করা হয়। পরে দুপুর ১২টায় পুলিশ এসে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।

রফিকুল ইসলামের ভায়রা-ভাই সাজ্জাদ সমকালকে বলেন, ঠিক কী ঘটেছিল এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।

এ ঘটনায় আত্মীয়-স্বজনদের কয়েকজনকে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন করেছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করছে বলে জানা গেছে।