যশোরে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মারপিটের ঘটনায় মামলা

mamla rai

মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় যশোর সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামে নূর মোহাম্মদ (৩২) নামে এক যুবককে মারপিট করে জখমের এক সপ্তাহ পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। প্রথমে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালতে পিটিশন করে নুর মোহাম্মদ। ওই পিটিশনটিই পুলিশ নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে। নুর মোহাম্মদ ওই গ্রামের নুরুন নবীর ছেলে।

আসামিরা হলো, একই গ্রামের মৃত ওজি উল্লাহর ছেলে শাহ আলম (৫৫), আমিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪৫), একই গ্রামের আব্দুল গণি মোল্লা (৪৫) ও তার ছেলে কবির হোসেন (২৫) এবং আব্দুল হাইয়ের ছেলে জাহিদ হাসান (২২)।

এজাহারে নুর মোহাম্মদ উল্লেখ করেছেন, আসামি শাহ আলম একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে প্রায় সময় এলাকার স্কুল কলেজে পুড়ুয়াদের কাছে মাদক দ্রব্য বিক্রি করে থাকে। গত ২৩ জুলাই এলাকার ভৈরব নদের ওপর ব্রিজে দাড়িয়ে গাঁজা বিক্রি করছিল। সে সময় তিনি সেখানে গিয়ে গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করেন। তার সাথে এলাকার আরো কিছু লোকজনের চাপের মুখে শাহ আলম গাঁজা বিক্রি করতে না পেরে চলে যায়। পরে এই বিষয় নিয়ে শাহ আলম তার সাথে শত্রুতা তৈরি করে। তাকে ক্ষতি করার জন্য নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।

গত ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ঘোনা গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সে সময় আসামিরা সেখানে গিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা করে। এক পর্যায়ে একটি ইট ছুড়ে মারে তাকে লক্ষ্য করে। ইটের টুকরোটি তার চোখের ওপর লেগে কেটে যায়। এর পর অন্যান্য আসামি বাঁশের লাঠি, লোহার রড এনে মারপিটে জখম করে। সে সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।

তিনি এই বিষয়ে কোতয়ালি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু কোতয়ালি পুলিশ তার মামলা নেইনি। ফলে তিনি গত ২ আগস্ট আদালতে গিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন। পরবর্তীতে গত শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় পিটিশনটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়।