যশোরে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পরিবারের

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি ঘের থেকে নাইমা (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
থানার পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।
পরিবার ও এলাকাবাসী বলছে, শিশু নাইমার সাথে আমজাদ (৩৮) নামে একজনের দোস্ত-বন্ধুর সম্পর্ক ছিল। ৭ আগস্ট (রবিবার) বিকেলে মেয়েটি তার মাকে জানায়, দোস্তকে একটা পেয়ারা দিতে যাচ্ছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের সদস্যরা আমজাদের কাছে গেলে সে বিষয়টি জানে না বলে জানায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মেয়েটির বড় চাচা রফিক একই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘেরের পাড়ে কচুরিপানার মধ্যে তাকে দেখতে পান। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ মরদেহ উদ্বার করে সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নাইমার বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিছু বিষয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাউকে এখনও (বেলা সোয়া তিনটা পর্যন্ত) আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত
রিপোর্ট পাওয়ার পরই ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা মেয়েটির শরীরে আঘাতের কোনও সিম্পটম পাইনি।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
নিহত নাইমা অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।