যশোরে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক কর্তৃক সংবাদ সন্মেলন

jessore map

যশোরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে প্রেসক্লাব যশোরে।আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ এ সংবাদ সম্মেলন করেন মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও ডেন্টিস্ট পয়েন্টের পরিচালক পূর্ববারান্দীপাড়ার বাসিন্দা মাসুম কবীর। তিনি জানান গত ১২ আগষ্ট কোতোয়ালি থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন মিহির নামের এক ব্যক্তি। মিহিরকে চেনেন না মাসুম। পরে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুম বলেন, ২০২১ সালের ২২ মে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মাহাফুজুর রহমান নামের এক রোগীকে পিটিয়ে হত্যা করে অন্য রোগীরা। ঘটনার তদন্ত করেছিলেন চাঁচড়া পুলিশ ফাড়ির সাবেক ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান। এ ঘটনার সিসি ফুটেজ দেখে অপরাধীরা সনাক্ত হয়। তাদেরকে আটকও করা হয়। এরপর ওই মামলায় আমাকে জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান। টাকা না দেয়ায় আটক আসামিদের মারপিট করে তাদের মুখ দিয়ে আমার নাম (মাসুম কবীরের) বলানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায় আমাকে ওই হত্যা মামলার আসামি করা হয়। আমি জেলথেকে জামিনে বের হয়ে এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ ও আদালতে মামলা করি। এরপর ওই মামলা তুলে নিতে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেন। মামলা তুলে না নিলে আরও মামলা দিয়ে হয়রানীর ভয় দেখান। এক পর্যায় এ বিষয়ে আমি পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। মাসুম কবীর দাবি করেন, এর জেরেই গত ১২ আগষ্ট তার বিরুদ্ধে মিহির মিত্র নামের একজন কোতোয়ালি থানায় একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে আটক করা হয়। যার নেপথ্যে রয়েছেন সাবেক ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে মাসুম কবীরের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন ও দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিহির মিত্র জানান, তার এক স্বজনকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির জন্য ২০২১ সালের ২২ মে ৩০ হাজার টাকা নেন মাসুম কবীর। কিন্তু হত্যার ঘটনার পর আর ভর্তি করা হয়নি বন্ধ হয়ে যায় ওই কেন্দ্র। পরে ওই টাকা ফেরত চাইলে নানা ভাবে ঘুরাতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামাননের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করলে তিনি বলেন, একটি হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি ওই মাসুম কবীর। তার হুকুমেই রোগীকে হত্যা করা হয়েছিলো। যা অপর আসামি ও সাক্ষীদের দেয়া জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। হত্যা মামলাটি ভিন্ন খ্যাতে নিতেই এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে মাসুম। এছাড়া তিনি যশোর থেকে বদলি চলে এসেছেন। তিনি জানান, মাসুম কবীরের বিরুদ্ধে কি মামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই বলে ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান জানান।