যশোরে জালিযাতি করে ও ক্ষান্ত হয়নি খোকা বাবু , নিরীহ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

জালজালিয়াতি করে রেকর্ড করা জমি বেহাত হওয়ার আশংকায় মরিয়া হয়ে উঠেছে যশোর সদরের রহেলাপুর গ্রামের একটি পরিবার। একেরপর এক মিথ্যা মামলা, খুন জখমের হুমকিসহ নানা ভাবে হেনস্থ করছে ভুক্তোভোগী ইয়াকুব আলী সরদারের পরিবারকে। এহেন পরিস্থিতিতে ওই পরিবারটি এখন জীবনের আশংকায় ভুগছে।

আদালতে করা মামলা ও ইয়াকুব আলী সরদারের ছেলে কামরুল হাসানের অভিযোগে জানা গেছে, ইয়কুব আলী একজন অশিক্ষিত কৃষক মানুষ। তিনি জমির কাগজপত্র সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ। ছেলেরা এখন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। পিতার জমিজমার খোঁজ খবর নিয়ে ব্যপক অসংগতি ধরা পড়ে। প্রতিবেশী মিজানুর রহমান খোকা বাবুর পরিবার তাদের অনেক জমি দখল করে আছেন।

প্রাথমিক ভাবে তাদের সাথে জমির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টার করলে তারা কর্ণপাত করেনা। একপর্যায়ে বিরোধে রূপ নেয় তাদের সাথে। ইয়াবুক আলী সরদার ও তার শরিকরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় মুনসুর আলী, আনোয়ারুল ইসলাম, আজিজুল আলম, আশরাফুল আলম, মোক্তার আলীম ফেরদৌসি বেগম, আছিয়া খাতুন, রিয়াদ হোসেন, রাহাদ হোসেন ও তাহেরা আলমকে।

মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারধীন আছে। মামলার অভিযোগে সাবেক ১২৮৮ ও বর্তমান ১৫০০দাগের ৭৬ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক, সাবেক ১২৯৮ ও বর্তমান ১৪৯৮ দাগের ২৪শতকরে মধ্যে ১৮ শতক এবং সাবেক ১২৯৭ ও বর্তমান ১৪৯৯ দাগের ১৭ শতকের মধ্যে ৯ শতক জমি বিবাদীরা কৌশলে রেকর্ড করে নিয়েছেন।

এ মামলার পর থেকে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। বিবাদী ইয়াকুব আলী সরদার ও তার ভাইপো মোশফিুর রহমান, তারেক মোহাম্মদ মঞ্জুর রশিদসহ অন্যদের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয় মিজানুর রহমান খোকা বাবু ,দোলনসহ বিবাদীদের বর্তমান ওয়ারেশগন। বাড়িতে হামলা, মারপিট, একেরপর এক মামলা দিয়ে হয়রনি করছে। চাকরিজীবী ভাই-ও ভাইবৌদের চাকরি খেয়ে নিবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। খোকা বাবু বর্তমান সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিনিয়ত পুলিশ প্রশাসন দিয়েও হুমকি দিচ্ছেন। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েকবার এসব জমি নিয়ে শালিস করেছেন। খোকা বাবুর পরিবার শালিস মানতে নারাজ। জালজালিয়াতি করে রেকর্ড করে নেয়া জমি উদ্ধার তো দুরের কথা, এখন খোকা বাবুর অত্যাচারে বৃদ্ধ পিতা-মাতাসহ বাড়ির লোকজনদের গ্রাম ছাড়ার উপক্রম হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এব্যাপারে ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত খোকা বাবুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।