মায়ের কবরে সমাহিত গাজী মাজহারুল আনোয়ার

বাংলা গানের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বসাধারণের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

দুপুরে দিকে শ্রদ্ধা জানাতে মরদেহ নেওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানেই গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে শেষবারের মতো দেখতে ও শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী ও প্রিয় মানুষরা। সেখানে প্রথম জানাজা হয়। এরপর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার গতকাল রবিবার সকালে ইন্তেকাল করেন।

১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন।

তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন তিনি। বিবিসি বাংলার তৈরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো-‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।