সরকারের শেষ রক্ষা হবে না: ড. মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সেজন্য বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে নির্যাতনের চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে গুম-খুন-মামলা-হামলা-নির্যাতন করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না, সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না।’

 

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই সভা হয়।

 

 

আয়োজক সংগঠনটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি আবু ইউনুসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ হোসেন ঠাকুর, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের শহীদুল ইসলাম সরকার, ডা. মজিবুর রহমান, এম কাদের নোমান প্রমুখ।

 

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। গায়ের জোরে এই সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যা-মামলা-হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে। বিএনপির ৩৬ লাখের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মামলা-হামলা-নির্যাতন করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’

 

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা বলেন- তারা গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কোথায় উন্নয়ন? দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। মেগা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত টাকা দেশে রেখে কীভাবে সামলাবে, তাই বিদেশে পাচার করছে।’

 

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, ‘বিদ্যমান সব সঙ্কট থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে বিনা ভোটের এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এদেরকে বিদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’