যশোরে সাংবাদিকের পরিচয় পত্র ব্যবহার করে অনলাইনে প্রতারনা

jessore map

যশোরে প্রতারণার মাধ্যম সাংবাদিক হাবিবুর রহমান রিপনের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ মূলক কর্মকা- করে আসছে। এ ঘটনায় ভুক্তোভোগী কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যান নং-৭৫৯ তারিখ ১৪.০৯.২০২২।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান রিপন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের আলমগীর কবিরের ছেলে। তিনি প্রেস ক্লাব যশোরের কোষাধ্যক্ষ, যশোর বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার এ্যাসাইনমেন্ট এডিটর হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি বলেছেন, আমার (হাবিবুর রহমান রিপনের) জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৪১১৯০১৩৬৪৪০০১ ব্যবহার করে একটি প্রতারকচক্র মোটরসাইকেল বিক্রির নামে বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারণা করছে। বিষয়টি চলতি বছরের ১৬ জুলাই জানতে পারেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর রিপনের গ্রামের বাড়িতে জানায় তার নামে একটি অভিযোগ হয়েছে। পরে ওই দারোগার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন একটি প্রতারক চক্র হাবিব এন্টার প্রাইজ নামে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে কাস্টমস অকশন নিলামকৃত মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন অনলাইনে প্রচার করে। সেই বিজ্ঞাপনের প্রোপাইটর হিসাবে হাবিবুর রহমান ও মোবাইল নাম্বার ০১৯৫৩-৪৩১১৬১ লেখা হয়। বিশ্বস্তÍতার জন্য রিপনের এনআইডির ছবি সরবরাহ করে। বিজ্ঞাপন দেখে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানার আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি দুইটি ভিন্ন নাম্বারে ৬৮ হাজার টাকা বিকাশ করেন। পরে প্রতারিত হয়ে তিনি হাবিবুর রহমান রিপনের নামে অভিযোগ করেন। এছাড়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলা সদরের বাসিন্দা পরিচয় দানকারি আকবর খান নামে এক ব্যক্তি রিপনের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখান থেকে রিপনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৭১৬-৩৭৫৯২৯ সংগ্রহ করে ০১৭৫৬-৪৪২২০২ নম্বর থেকে ফোন করেন। তিনিও একই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান। রিপন তাকে যশোরে এসে দেখা করতে বলেন। তিনি আসছি আসছি করেও শেষ পর্যন্ত দেখা করেননি। তবে এভাবে আরও অনেকে এই চক্রের হাতে প্রতারিত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। এই চক্র দ্বারা রিপনসহ তার পরিবার বিব্রত ও সম্মান হানি হচ্ছে। এ জন্য ওই প্রতারক চক্রদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য থানায় আবেদন জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন দীর্ঘ ১২ বছর জাতীয় পরিচয়পত্রের রেকর্ড অনুযায়ী মৃত ছিলেন। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রিপনের এনআইডি কার্ড সচল হয়।