যশোরের মণিরামপুর থানার একটি অস্ত্র আইনের মামলায় ছয় চরমপন্থির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই রাজেশ কুমার দাস।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলার পুরনো বাজার এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে বাসুদেব সাহা ওরফে মাহামুদুর রহমান ওরফে কিরণ, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের সহদেব বিশ্বাসের ছেলে অজয় বিশ্বাস, পাঁচকাটিয়া গ্রামের নির্মল পাড়ের ছেলে পলাশ পাড়ে, পাড়দিয়া গ্রামের আরাধন রাজবংশীর ছেলে সুব্রত কুমার রাজবংশী, অভয়নগর উপজেলার কচুয়া গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে সাধন বিশ্বাস ও বারান্দী পশ্চিম এলাকার মোহন্ত দাসের ছেলে অনুপম দাস।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার উত্তম সরকার হত্যাকা-ে জড়িত তিন চরমপন্থি পলাশ পাড়ে, সাধন বিশ্বাস, এবং অজয় বিশ্বাসকে আটক করেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত বানছা বিশ্বাসের ছেলে বিশ্ব বিশ্বাসের মাছের ঘেরের টোঙঘরের পাশে লুকিয়ে রেখেছেন। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পহেলা ফেব্রুয়ারি সেখানে তল্লাশি চালিয়ে লুকিয়ে রাখা ২টি পাইপগান এবং ২২ বোর রাইফেলের ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
এই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে চরমপন্থি নেতা কিরণসহ সুব্রত কুমার রাজবংশী ও অনুপম দাসের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ কারণে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছয় জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই রাজেশ কুমার দাস।