যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজিপাড়া আমবাগান এলাকায় বোমা বিষ্ফোরণ ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুটি সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। কোন হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে আমবাগানের বাবুর লন্ডির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যশোর জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলম। এ সময় এক কিশোরের কাছে চাকু দেখে তিনি জানতে চান তার কাছে চাকু কেন। এই ঘটনার কিছু সময় পর ওই এলাকার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে, কানা রুবেল, দুর্জয়, রাসেল, জাভেদসহ ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী ফিরোজ আলমের উপর হামলা চালায়। প্রথমে জাভেদ ফিরোজকে লক্ষ্য করে একটি বোমা নিক্ষেপ করে ও পরে পুরাতন কসবার সিরুর ছেলে র্দুজয় দুই রাউন্ড ও আর এন রোডের কানা রুবেল ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ফিরোজ অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানান, জুয়েলের হাতে একটি সর্টগান ছিলো। কানারুবেলের হাতে একটি ও র্দুজয়ের হাতে একটি করে পিস্তল ছিলো।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল জানান, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্ব ফিরোজ আলম, জিহাদ, উপলসহ ১৫/২০ জন আমার বাড়িতে বোমা হামলা চালায় ও গুলি বর্ষন করে।
এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল, কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম, ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার ও কসবা ফাঁড়ির আইসি ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে র্যাব-৬ যশোরের কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, আমবাগান এলাকায় একটি ছেলেকে চাকুসহ একপক্ষ ধরে। আরেক পক্ষ তাকে ছাড়িয়ে নিতে গুলি ও বোমা হামলা চালায়। আমরা বোমার আলামত পেয়েছি। আমরা পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করবো।