মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ২ পুলিশ কর্মকর্তা

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হ‌কের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য প্রদান ক‌রে‌ছেন দুই পু‌লিশ কর্মকর্তা। তাঁরা হ‌লেন, সোনারগাঁও থানার সা‌বেক ওসি (বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত) ত‌বিদুর রহমান ও এএসআই রা‌কিবুল ইসলাম উজ্জ্বল। উজ্জ্বল বর্তমানে গোপালগঞ্জ থানায় কর্মরত।

আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী ম‌শিউর রহমা‌নের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ নি‌য়ে এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনু‌ষ্ঠিত হ‌লো। মামলার পরবর্তী তা‌রিখ নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে আগামী ৩ অক্টোবর।

এদিন এ মামলায় আরও ২ পু‌লিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাক‌লেও তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়‌নি।

নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পি‌পি রা‌কিব আহ‌মেদ ব‌লেন, সাক্ষ্য প্রদানকা‌লে সাক্ষী দুই পু‌লিশ কর্মকর্তা আদালত‌কে জানিয়েছেন, মামুনুল হক রয়্যাল রিসোর্টে এক নারী নি‌য়ে অবস্থান করছেন জান‌তে পে‌রে পু‌লিশ সেখা‌নে গিয়ে নারীসহ মামুনুল হক‌কে আটক ক‌রে। প‌রে আটককৃত নারী‌কে জিজ্ঞাসাবাদ ক‌রে পু‌লিশ জান‌তে পা‌রে, মামুনুল হক ওই নারী‌কে বি‌য়ের প্রলোভ‌নে রিসোর্টে এনে ধর্ষণ ক‌রেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর খবর পে‌য়ে মামুনুল হ‌কের অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ওই নারীসহ তা‌কে ছাড়িয়ে নি‌য়ে যায়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন ব‌লেন, আমরা দুই সাক্ষীর কথা এলোমেলো পেয়েছি। তা‌দের কথার ধারাবাহিকতা নেই। মামলার বা‌দী মামুনুল হ‌কের বৈধ স্ত্রী। তা‌কে দি‌য়ে সরকার জোরপূর্বক মামলা ক‌রি‌য়ে‌ছে। এখন মামলার বা‌দী কোথায় তাও আমরা জা‌নি‌ না। ন্যায়বিচার হ‌লে এ মামলা থে‌কে তি‌নি খালাস পা‌বেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।