যশোরে বাড়ির জমি দখলে মারপিট ও টাকা লুটের ঘটনায় মামলা

mamla rai

 

বাড়ির জমি দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার কারনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানা কর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের শহর আলীর ছেলে জুম্মান আলী। আসামীরা হচ্ছে, একই এলাকার মুরাদ হোসেনের ছেলে মফিজুর রহমান মফিজ,হাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম, বাবুর ছেলে আব্দুল হাকিম মুরাদ হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ইসমাইল গাজীর ছেলে ইদ্রিস আলী।

মামলায় বাদি বলেছেন, তিনি ভ্যানচালক ও আসামীগন পরস্পরলোভী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃতকৃত জায়গায় বাদি আধাপাঁকা ঘর নির্মাণ করে অনুমান ৩০ বছর বসবাস করে আসছে। বাদির পিতা হতে বাদি প্রাপ্ত হয়ে ঘর তুলিয় বসবাস করে আসছিল। বাদির উক্ত জায়গার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আসামীগনের। দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জায়গা দখল করে নেওয়ার জন্য আসামীরা উদ্যত হয়্ বাদির বাঁধার মুখে উক্ত জায়গা দখল করতে আসামীগন ব্যর্থ হয় এবং বাদির সাথে উক্ত জায়গা নিয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় আসামীরা বাদীর বাড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করতে থাকে। বাদি তখন ভাত খাচ্ছিল। বাদি বাইরে এসে বাধা নিষেধ করলে মফিজুর রহমান মফিজ হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝখানে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। বাদিকে বাঁচাতে মিঠু আসলে আসামী হাফিজুর রহমান লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে জখম করে। বাদি ও মিঠুকে বাঁচাতে বাদির খালা খুশি বেগম ও লোকমান হোসেন এগিয়ে আসলে রবিউল,মরিয়ম কাঠেরচলা দিয়ে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে জখম করে। ইদ্রিস আলী বাদির ডান হাতে বাড়ি মেরে গুরুতর জখম করে। সকল আসামীগণ বাদির বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধণ করে। মফিজুর রহমান মফিজ বাদির ঘরে কষ্টার্জিত জমানো ৪০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে আসামীগন চলে যায়। যাওয়ার প্রাক্কালে মফিজুর রহমান মফিজ ভবিষ্যতে বাদিকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদি ও আহত মিঠুকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।