গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন : শেষ দিনে ২৭ জনের বক্তব্য শুনছে তদন্ত কমিটি

বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ‘অনিয়ম’ খতিয়ে দেখতে তৃতীয় দিনের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তদন্তকাজের অংশ হিসেবে কমিটি ২৭ জনের বক্তব্য শুনছে।

আজ তদন্তকাজের শেষ দিন। সকাল ৯টায় গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে এই শুনানি শুরু হয়। চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

যাদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে তাদের মধ্যে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র‍্যাবের দুইজন কমান্ডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক রয়েছেন। তাদের বক্তব্য গ্রহণের মাধ্যমে ৬৮৫ জনের শুনানি শেষ হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে এই শুনানি চলছে। কমিটির সদস্যসচিব ও ইসির যুগ্ম সচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ফুলছড়ির ১৩৬ জন ও বুধবার সাঘাটা উপজেলার ৫২২ জনের বক্তব্য শোনে তদন্ত কমিটি।

অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের ভোট বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে একে একে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। পরে ভোট স্থগিত করে দেয়।

এমন অবস্থায় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে এই শুনানির জন্য আদেশ জারি করে ইসির গঠিত তদন্ত কমিটি। মাঠ প্রশাসন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ অনেকেই রয়েছেন এই শুনানির তালিকায়।

গত জুলাই মাসে জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল। সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ ১৭টি ইউনিয়নে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।