নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় যশোর ছাত্রদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

jcd logo

গত ২২শে অক্টোবর বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানকালে পথে আওয়ামী লীগের পৃথক পৃথক হামলায় আহত হন যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মজনু হোসাইন, সদস্য মোঃ আখতার হোসেন, বেনাপোল পৌর শাখার আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ, বেনাপোল পৌরের অন্তর্গত ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আশিকুর জামান অন্তর, ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আশিক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাগর হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ তানভীর হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমান, মনিরামপুর পৌর শাখার অন্তর্গত ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সজীব হোসেন, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিউল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা শাখার অন্তর্গত সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোঃ সোহেল রানা, আলামীন হোসেন, ত্রিমোহনী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা অনিক আহমেদ, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল কর্মী মোঃ আকাশ ও মোঃ রবিউল ইসলাম।

সন্ত্রাসীদের এসব ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান বাপ্পি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ নেওয়াজ ইমরান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন দূর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি, সীমাহীন লোডশেডিং এবং পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিএনপি আহুত বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো জনসমূদ্রে রুপ নেওয়ায় নিশিরাতের অবৈধ সরকার আজ দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। যান চলাচল বন্ধ, পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, মামলা, গণগ্রেফতার চালিয়েও যখন বিএনপি’র সমাবেশগুলোতে মানুষের ঢল ঠেকাতে পারছে না তখন অস্ত্রসহ পথে নামিয়ে দিয়েছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে৷ সেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রদলসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থক৷

হাত দিয়ে যেমন সূর্যের আলো রুখতে পারা যায় না তেমনি হাজারো ষড়যন্ত্র করেও গণতন্ত্রকামী জনতাকে দাবায়ে রাখা যায় না৷ তারই ফলস্বরূপ বিএনপি সাম্প্রতিক কর্মসুচীসমূহে ব্যাপক জনসমাগম৷ স্বৈরাচারী সরকার যত নগ্ন হয়ে বিএনপি’র সমাবেশগুলো বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে, বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা, দমন-নীপিড়নের মাত্রা যত বৃদ্ধি করছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ হামলা-মামলা-গ্রেফতার-জেল-জুলুম চালিয়ে গণতন্ত্রকামী ছাত্রজনতার অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়া সম্ভব নয়৷ এই মুক্তিকামী ছাত্রজনতার হাত ধরেই ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে অচিরেই বাংলাদেশকে স্বৈরাচারের কালো থাবা থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের আকাশে উদিত হবে গণতন্ত্রের স্বাধীন সূর্য।