ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায় একই রাতে দুই ভ্যান চলকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি।সেসময় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা মোবাইল ফোন, শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২ঃ১৫ মিনিটের সময় বিষয়খালী গ্রামের মাঠ পাড়ার বাসিন্দা ভ্যান চলক জিয়ারত আলী শেখের বাড়িতে মুখ বাঁধা অবস্থায় ১০/১৫ জনের সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রবেশ করে এবং সেসময় তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকল সদস্যদের হাত পা বেঁধে গরু বিক্রি করার নগদ ৬০ হাজার টাকা,৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল,২ টি আংটি,৪ টি মোবাইল ফোন ,২০ টি শাড়ি,৫ টি লুঙ্গিসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে একই রাতে পার্শ্ববর্তী ভ্যান চলক হাসেম আলীর বাড়িতে হানা দেয় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদল।সেসময় তারা হাসেমের ছেলে নাজমুলের এনজিও থেকে উত্তোলন করা নগদ ৮০ হাজার টাকা,৬ টি মোবাইল ফোন, ১ টি স্বর্ণের চেইন,১ জোড়া হাতের বালা,১ জোড়া কানের দুল,১ জোড়া পায়ের নুপুরসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।জিয়ারত ও হাসেম জানান, তারা সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলার অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তারা আরো জানান,সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের মুখ বাঁধা অবস্থায় থাকায় তাদেরকে চিনতে পারেনি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, আমি ডাকাতির ঘটনা জানিনা।আপনাদের মাধ্যমে মাত্র শুনলাম। তবে থানায় অভিযোগ করলে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে আইনানুগ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এই দুটি অসহায় পরিবারের সর্বস্বান্ত ডাকাতি হয়ে যাওয়ার পর থেকে অঝোরে কাঁদতে থাকে।সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেরাই হাত-পা খুলে ডাকাত ডাকাত বলে আত্মচিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে বাড়ির বাকি সদস্যদের হাত-পা বাঁধা অবস্থা থেকে মুক্ত করে।তবে এলাকাবাসী ডাকাত দলের কোনো সদস্যকে দেখতে পারেনি।