‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ মির্জা ফখরুলের মেয়ে শামারুহ

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সম্মানজনক ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে ডা. শামারুহ মির্জা। আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সম্প্রতি শামারুহ মির্জাসহ দুই বাংলাদেশি ২০২৩ সালের ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। অপর বাংলাদেশি হলেন নাজমুল হাসান। ড. শামারুহ মির্জা ও নাজমুল হাসান ‘এসিটি লোকাল হিরো’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত হন।

৪টি ক্যাটাগরিতে এসিটি পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো হলো— এসিটি অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার, এসিটি সিনিয়র অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার, এসিটি ইয়াং অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার এবং এসিটি লোকাল হিরো। এবার এই ৪ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে আজ ৪ ক্যাটাগরিতে ৪ জন ফাইনালিস্ট পুরস্কার পেলেন। আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার দিন অন্যান্য রাজ্য এবং অঞ্চলের পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে ‘ফাইনালিস্ট’ হিসেবে তারা যোগ দেবেন।

শামারুহ মির্জা একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। ২০০৬ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে বাস করছেন। চিকিৎসক হলেও মূলত তিনি একজন নারী সংগঠক হিসেবে সমধিক পরিচিত। শামারুহ মির্জা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

 

বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের নারীদের তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য একটি নিরাপদ স্থান দিতে শামারুহ ২০১৭ সালে সিতারার গল্প (সিতারাস স্টোরি) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। বাংলাদেশে ২ জন নারী বীরপ্রতীক রয়েছেন। ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা ও তারামন বিবি। তাদের নামানুসারেই এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। সি মানে সিতারা বেগম, আর তারা মানে তারামন বিবি। এটি একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নারীদের উন্নয়নে সহায়তা করে। ২০২১ সালে সংস্থাটিকে ‘এসিটি মেন্টাল হেলথ মান্থ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ৪৪ বছর বয়সী ড. শামারুহ নিজেও ‘ক্যানবেরা কমিউনিটি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন।