যশোরে আসাদ ওরফে বুনো আসাদ হত্যার বিচার চেয়েছে ছেলে আনিসুর রহমান

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যশোরের আলোচিত আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে বুনো আসাদ ১৩ দিন পর মারা গেছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

৮ নভেম্বর রাতে বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নুরুন্নাহার হেমিও হলের ভিতরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসিরা ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর জখম করে আসাদকে। আসাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদের ছেলে আনিসুর রহমান। বুনো আসাদ যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডে।

পিতা হত্যা বিচার চেয়েছে ছেলে আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, বেজপাড়া বুনোপাড়ার রিপন হোসেন, বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে আবুল খায়ের, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাইফুল উদ্দিন রিজু, নাসির শিকদার এছাড়াও বিহারী কোলোনির কানু, কামরুল ইসলামের ছেলে হাসিব রেজা নামে স্থানীয় প্রভাব শালীদের মদদে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন মাঠ পাড়ার সুমন, সাদেক দারোগার মোড় এলাকার চঞ্চল, খাবড়ি হাসান ও টিটন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তিনি।

বুনো আসাদের ছোট ভাই সাহিদুর রহমান জানান, ৮ নভেম্বর রাতে বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নুরুন্নাহার হেমিও হলের ভিতরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বুকের ডান পাজরে সন্ত্রাসিরা ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর জখম করে আসাদকে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অপারেশন করার সময় মারা যান বুনো আসাদ।

বুনো আসাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছোট ভাই সাইদুর রহমান চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৭ জনকে আসামি করে ৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন বেজপাড়া কবরস্থানের পিছনের মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, একই এলাকার দাউদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া খোকনের ছেলে আকাশ ও রায়পাড়ার বিপ্লব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন জানান, প্রথমে পুলিশ চঞ্চলকে আটক করে। এরপর অন্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। পরে খাবড়ি হাসান অস্ত্র ও গুলিসহ ১৮ নভেম্বর রাতে শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন কল্পলতা হাউজিংয়ের সালেহা মঞ্জিলের সামনে থেকে স্থানীয় জনগণ গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে খাবড়ি হাসান কারাগারে রয়েছে।

কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বুনো আসাদের বিষয়ে কোন তথ্য তার জানা নেই।