যশোরে ইজিবাইকের পতাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মামলা

সামান্য পতাকাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড শ্রীকন্ঠ নগর পশ্চিম পাড়ার মালেক মোড়লের পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে একই পরিবারের চারজনকে জখম করে স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে মালেক মোড়লের ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় প্রতিবেশী দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ ইমরান হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। আসামীরা হচ্ছে, ওই গ্রামের আইযূব আলীর ছেলে ইমরান হোসেন, ওহিদ লস্কারের ছেলে বাবু।

মামলায় বিল্লাল হোসেন উল্লেখ করেন, আসামীরা সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে নিরীহ লোকজনের সাথে গোলযোগ করে ,গালিগালাজ করে, আসামীদের আচারনের প্রতিবাদ করলে তারা মারপিট করে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে। গত ২২ নভেম্বর ইমরান হোসেন তার ইজিবাইকে ২টি ছোট ছোট পতাকা রেখে ইজিবাইকটি তার বাড়ির সামনে রাস্তায় রেখে তার বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার জন্য যাওয়ার পরে ওই পতাকা বাদির অবুঝ শিশু বাচ্চা শামিরুল (৫) ও বাদির পোতা ছেলে হামজা (৪) বাদির পরিবারের অজ্ঞাতে ইমরান হোসেনের ইজিবাইক থেকে পতাকা নিয়ে ১টি পতাকা বাদির ছেলে নষ্ট করে ফেলে দেয়।

ইমরান হোসেন তার গাড়িতে রাখা ২টি পতাকা না পেয়ে একই দিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাদির পরিবারের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদির বউমা মোছাঃ সেলিনাকে খুন করার হুমকী দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ১টি পতাকা না দিলে বাদির পরিবারকে খুন করার হুমকী দিয়ে বউমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। ওই সময় বাদি আসামীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদিকে খুন করার হুমকী দিয়ে আক্রমন করে লাঠি দিয়ে মাথায়,হাতে,পায়ে,বুকে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

বাবু বাশের লাঠি দিয়ে বাদিকে মারপিট করে জখম করে। ঘটনার সময় বাদির মাতা করিমন (৬৫),বাদির স্ত্রী বিলকিস (২৫), বাউমা মনিরুলের স্ত্রী সেলিনা (৩০)গন ঠেকানোর চেষ্টা করলে আসামীরা তাদেরকে মারপিট করে জখম করে। আসামীরা বাদির স্ত্রীর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

বাদির মাতা ও স্ত্রীর পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাদির পরিবারের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আগামীরা পরে দেখে নেওয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদি ও তার মাতাকে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার ২ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করেছে।