সোনার বাংলা গড়তে হলে বিএনপি-জামায়াতকে নির্মূল করতে হবে : হানিফ

mahabubul alam hanif
ফাইল ছবি

বিএনপি-জামায়াত যতদিন বাংলাদেশে রাজনীতি করবে, ততদিন দেশে শান্তি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

তিনি বলেন, একাত্তরের রাজাকার জামায়াত ও পঁচাত্তরের খুনি বিএনপি যতদিন এই দেশে রাজনীতি করবে ততদিন দেশে শান্তি থাকবে না। শেখ হাসিনার নেতত্বে সোনার বাংলা গড়তে হলে বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন, নির্মূল করার অঙ্গীকার করতে হবে।

বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি মনে প্রাণে এবং আদর্শে পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী। তারা পাকিস্তানের আদর্শ ধারণ করে। বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে দেশকে আলোয় উদ্ভাসিত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই নব্য রাজাকার বিএনপি জামায়াতের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে করছে। দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ধ্বংস করা, দেশকে পিছিয়ে দেয়াই তাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। এরপর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। স্বাধীনতার বিজয় যখন সুনিশ্চিত তখন বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা লাভের পর দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সারাদেশে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে। দেশের মেধাবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের দুর্ভাগ্য এখনো পাকিস্তান বাঙালি জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আমরা তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারিনি।

হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা আদর্শে পাকিস্তানি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর দালাল আইন বাতিল করে সাড়ে ১১ হাজার রাজাকার আলবদরকে মুক্ত করে দিয়েছেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন, তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং আব্দুল আলীম, রজব আলীর মতো রাজাকারদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন। খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করার মধ্য দিয়ে দেশে বিভাজনের রাজনীতির ধারা তৈরি করে গেছেন। যার কারণে বাংলাদেশ এখনো জ্বলছে।