যশোরে চুরির ঘটনা দেখে ফেলার জেরে ফার্নিচার মিস্ত্রিকে মারপিট

পিকআপ থেকে মালচুরির ঘটনা দেখে চালককে বলে দেয়ার জের ধরে সেলিম হোসেন (৩৫) নামে এক ফার্নিচার মিস্ত্রিকে মারপিট করে জখম করা হয়েছে । কোতয়ালি থানায় আহত ফার্নিচার মিস্ত্রির ভাই সদরের রামনগর পুকুরকুল গ্রামের গোলাম মোল্লার ছেলে আব্দুস সালাম (৪০) বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলা করেন।

মামলায় ৩ জনের নাম উল্রেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা হলো শহরের বারান্দিপাড়া মোল্লাপাড়ার মোঃ শামিমের ছেলে শরীফ শেখ (২৭) বারান্দি মোল্লাপাড়া ফুলতলার মৃত আহম্মদ আলী বিশ্বাসের ছেলে রিপন হোসেনে (২২) ও একই এলাকার লালু মিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩৪)। এদের মধ্যে শরীফ শেখকে পুলিশ আটক করে।

মামলায় আব্দুস সালাম বলেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আসামিদের নামে মার্ডার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আহত সেলিম হোসেন পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি। তিনি ক্যান্টমেন্টের ভিতরে ফার্নিচারের কাজ করে।

সেলিম হোসেন বাইসাইকে যোগে বুধবার সন্ধ্যায় (১৪ ডিসেম্বর) মনিহার মোড় থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে যশোর খুলনা মহাসড়কের পাশে নাজির শংকরপুরস্থ আইটি পার্কের সামনে রাস্তার উপর পৌছায়। এসময় সেলিম দেখতে পায় আসামি শরীফ একটি পিকআপ গাড়ির পিছন থেকে মাল চুরি করছে। বিষয়টি সে চালককে জানিয়ে দেয়। এতে শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্য আসামিদের সাথে করে ধারালো চাকু, লাঠি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিমের উপর হামলা চালায়। আসামিরা সেলিমকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। হামলার সময় আসামিরা সেলিমের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৫শ টাকা কেড়ে নেয়। সেলিমের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত সেলিমকে চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীকি অবস্থার অবন্নতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে বুধবার রাতে পুলিশ শরীফকে মনিহার এলাকা থেকে আটক করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।