‘অমানবিক’ ম্যাচ। ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গের পর খেলোয়াড়, ভক্তদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ স্বাভাবিক। মাঠে নামার মানসিক প্রস্তুতি থাকা যেমন কঠিন, উৎসাহ পাওয়ায় কঠিন। তবু ফিফার নিয়ম। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতেই হবে।
ওই লড়াইয়ে শনিবার চমক দিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা মরক্কো ২-১ গোলে হেরেছে। স্বান্তনার তৃতীয় স্থান পেয়েছে গত আসরে রানার্স আপ হওয়া ক্রোয়েশিয়া।
তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে দুই দল সমান তালে লড়াই করেছে। ম্যাচের ৭ মিনিটে অসাধারণ এক হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ক্রোয়াট সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জোসকো গার্ডিওল। কিন্তু ওই লিড মুহূর্তে হারায় মডরিচ-পেরিসিচরা।
ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল শোধ করেন মরক্কোর আশরাফ দারি। তিনিও হেড থেকে গোল করেন। আফ্রিকার দলটির নেওয়া ফ্রি কিক ক্রোয়াট খেলোয়াড় হেড দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। দারি ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠিয়ে দেন।
শুরুতেই জমে যায় দুই দলের গোল লড়াই। ফ্রান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা মরক্কোও এই ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধে ক্রোয়াটদের সঙ্গে তাই বলের ও গোলের দুর্দান্ত লড়াই জমিয়ে তোলে তারা। কিন্তু প্রথমার্ধে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ইউরোপের প্রতিনিধি ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে মিস্লাভ অরসিচ গোল করেন। তার দুর্দান্ত গোলে সহায়তা দেন লিভাজা। ওই গোল শোধ করতে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের জোর বাড়ায় মরক্কোর খেলোয়াড়রা।
ক্রোয়াটদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪৯ শতাংশ বল পায়ে রাখে ওয়ালিদ রেগরাগুই-এর দল। গোলে ভালো দুটি শটও নেয়। ভালো পাঁচটি আক্রমণ তুলে শট নেয় বাইরে। সমতাসূচক গোলটি তারা তাই করতে পারেনি।