মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটাস ডি হাসের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ রোববার সচিবালয়ে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্ত যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার ওসি সিভিল পোশাকেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন। পুলিশের পোশাক পড়ার সময়ও পাননি।

গত ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান পিটার হাস। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার খবর পেয়ে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন। সুমনের বাসা থেকে বেরিয়ে এলেই ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিটার হাসকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরে তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

এ ঘটনার দিন দুপুরে শাহীনবাগের ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন পিটার হাস। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ার শাহীনবাগে বিএনপির এক নিখোঁজ নেতার বোনের বাড়ি গিয়েছেন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানার কথা ছিল। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও জানি না। আমাদের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিএনপি নেতার বাড়িতে যাওয়ার তথ্য কীভাবে ফাঁস হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের জানার কথাও না। তার অফিস থেকেও ফাঁস হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যেখানে যাচ্ছেন, তখন সেখানে যাওয়াটা পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গেছে। শাহীনবাগেও পুলিশ ছিল। তার নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আসেনি।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।