ছাদখোলা বাসে মেসিরা, লাখো মানুষের ভালোবাসা

বিশ্বকাপ নিয়ে কাতার থেকে আজ বীরের বেশে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে পৌঁছেছেন মেসি-ডি মারিয়ারা। স্থানীয় সময় রাত ২.২০ মিনিটে এজেইজার মিনিস্ট্রো পিস্তারিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে বিশ্বকাপজয়ীদের বহন করা বিমান। বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই ভক্ত-সমর্থকেরা অভিনন্দন জানান। এরই মধ্য দিয়ে ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপের ট্রফি পৌঁছাল আর্জেন্টিনায়। রোববার ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি পেলেন তার অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি।

ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, সবার আগে সোনালি শিরোপা উঁচিয়ে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন মেসি। তার পাশে ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এরপর ভক্ত-সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন তারা।

মেসিদের স্বাগত জানাতে এবং বিশ্বকাপ ট্রফি এক ঝলক দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী। মেসি-ডি মারিয়াদের এমন সাফল্যে ফুটবল ভক্তদের ভিড় জমেছে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে। জয় উদযাপন করতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আর্জেন্টিনার রাজধানী দেখলে মনে হবে যেন মানুষের ঝড় শুরু হয়েছে।

মেসিদের যাত্রাপথে ছিল লাখো সমর্থকের ঢল

সোমবার রাতে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর্জেন্টিনার উদ্দেশে রওনা দেন মেসিরা। যাত্রাপথে ইতালির রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে দেড় ঘণ্টার যাত্রাবিরতি ছিল। দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে করে খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্লান্তি ভুলে মানুষের ভালোবাসার জবাব দিচ্ছেন লিওনেল মেসি, ডি মারিয়ারা।

মেসিদের দেখতে বুয়েনস আয়ার্সের রাস্তায় উল্লাসে সমর্থকেরা

মেসিদের বাস প্যারেডের পেছনে লাখো সমর্থকদের ঢল

বুয়েন্স আয়ার্স জানিয়েছে, প্রথমে মেসিদের নিয়ে যাওয়া হবে এএফএর স্টেডিয়ামে। সেখানে কয়েক ঘন্টা বিশ্রামের পর রাজধানীর বিখ্যাত ওবেলিস্ক মনুমেন্টের নিচে বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই মনুমেন্টের পাশে ইতোমধ্যেই জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বিপুল উৎসাহে চলছে মেসিদের বরণ করার প্রস্তুতি।