আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও যুগ্ম সম্পাদক পদে কার পরে কে?

আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের ৯ দিনের মাথায় রোববার সন্ধ্যায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ দুই পদ সভাপতিমণ্ডলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নেতাদের নামের ক্রমে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের কমিটিতে যাদের নাম নিচে ছিল নতুন কমিটির তালিকায় তাদের ক্রমে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আবার কারও কারও নাম পেছনে চলে গেছে।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের পর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে সভাপতিমণ্ডলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আগের কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন এমন তিন নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর যুগ্ম সম্পাদক পদে আগের চারজনই রয়েছেন, তবে তাদের নামের ক্রমে তথা জ্যেষ্ঠতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর ৩৪টি পদের মধ্যে সবার ওপরে নাম সাধারণ সম্পাদকের। এর পর চারজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নাম। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য সবার ওপরে যিনি থাকেন, তাকে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০০৯ সালের পর থেকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ। এবার তাকে ডিঙিয়ে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে। তিনি ২০১৯ সালের জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে আসেন। আগের কমিটিতে তার ক্রম ছিল ৩ নম্বরে।

আগের কমিটিতে ২ নম্বর ক্রমে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নাম। এবার তার নাম সবার শেষে, ৪ নম্বরে চলে গেছে। আর ৪ নম্বরে থাকা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম তিনে স্থান পেয়েছেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর বিকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী পর্বে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণায় এই ক্রমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের নাম বলেছিলেন। পরে ওই দিন রাতে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে এভাবেই ক্রম সাজিয়ে নাম তোলা হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দলটির ওয়েবসাইট থেকে নামগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রমের বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছিলেন যে, হাছান মাহমুদকে ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে।

পরে আওয়ামী লীগের প্যাডেও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের তুলে ধরা হয়। সেখানেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের ক্রমে ১ নম্বরে হাছান মাহমুদ এবং ৪ নম্বরে দীপু মনির নাম দেখা যায়।

এবার সম্মেলনের আগে মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম—তিনজনই সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।

অন্যদিকে সভাপতিমণ্ডলীর তালিকায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সবার ওপরে আছেন চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান নেতা মোশাররফ হোসেনের নাম। আগে এই স্থানে ছিল সাজেদা চৌধুরীর নাম। তিনি মারা গেছেন।

মোশাররফের পরেই রয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। এর পর যথাক্রমে—ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, পীযূষ কান্তি, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, জেবুন্নেছা হক, খায়রুজ্জামান লিটন, সিমিন হোসেন রিমি।
একটি পদ শূন্য রাখা হয়েছে; যেটি পরে পূরণ করা হবে।