মাদক সেবন করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে দুই জনের কারাদন্ড

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা ৮ জানুয়ারি দিনভর মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসময় মাদক সেবন করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুই জনের কারাদন্ড দিয়েছে। এরা হচ্ছে শংকরপুর মেডিকেল কলেজ এলাকার মুনসুর আলী ও সিটি কলেজ পাড়ার শুকুর আলী।

এদিকে স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, চিহ্নিত মাদক ডেরায় অভিযান চলেনা অজ্ঞাত কারণে।

থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি যশোরাঞ্চলে শহর ও শহরতলীতে মাদক দ্রব্য বিক্রি ও সেবন বেড়ে গেছে এমন তথ্য আসছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক ও মাদক উদ্ধার করছে। আর মাদক আইনে মামলা দিয়ে চালান দিলেও জামিন পেয়ে ফিরে যাচ্ছে একই নিষিদ্ধ পেশায়। সম্প্রতি এমন একাধিক তথ্যে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ে ক ও খ সার্কেল অভিযান পরিচালনা করে। ৮ জানুয়ারি ৫/৭টি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন এলাকায়। এসময় যশোরের শংকরপুর ও সিটি কলেজপাড়া এলাকার দুই মাদক সেবী হাতে নাতে আটক হয়। তারা মাদক সেবন করে মাতলামি করাসহ এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আটক দ্ইু সেবনকারীকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এরা হচ্ছে উপরে উল্লেখিত দুই জন। ওই দু’জন মাদক কারবারও করে। শংকরপুর ও সিটি কলেজ পাড়াসহ যশোরাঞ্চলের আরো শতাধিক স্পটে মাদক বিকিকিনি হয়। তাদের আটকে তালিকা করে অভিযান চালাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের পক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে না বলার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার আহবান জানানো হয়েছে। তবে এই অধিদপ্তরের অনেকের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ বলেও দাবি স্থানীয় একাধিক সূত্রের। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক অফিসার ও ফোর্সের সখ্যতার অভিযোগ তোলে সূত্রগুলো। সম্প্রতি যশোরের নওদাগ্রামে আলোচিত এক কারবারির বাড়ি থেকে গাঁজা বিক্রির ৪ লাখ টাকা উদ্ধার ঘটনা নিয়ে ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী এলাকায় এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে। এমনকি সে জিনের সাধক তান্ত্রিক বলে এলাকায় জাহির করছে। এছাড়া চাঁচড়া কলাবাগান, সিটি কলেজপাড়া ও বারান্দীপাড়ার চিহ্নিত অনেক মাদক ব্যবসায়ীর ডেরায় অভিযান চালানো হয় না দাবি করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী অনেক অভিভাবক।