সাত্তারকে ডিক্লেয়ার দিয়ে পাস করিয়ে আনা হবে: রুমিন ফারহানা

জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপি দলীয় এমপিদের পদত্যাগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এ ঘটনায় পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, সাত্তারের মনোনয়ন সংগ্রহ করার পেছনে সরকারের চাপ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপির ইমেজ নষ্ট করতে সাত্তারকে চাপে ফেলে নির্বাচনে আনা হয়েছে এবং যেকোনো ভাবেই হোক সরকার তাকে পাস করিয়ে আনবে। যে কারণে ওই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও তা পরে তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের একটি হাইওয়ে হোটেলে উপজেলা বিএনপির এক জরুরি মতবিনিময় সভায় ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের নীল নকশা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোন ইলেকশন হচ্ছে না। আবদুস সাত্তারকে নির্বাচনে ডিক্লেয়ার দিয়ে পাস করানো হবে। আওয়ামী লীগ জানে যে, উকিল সাত্তার সাহেবের সঙ্গে যদি কলাগাছও নির্বাচন করেন তাহলেও তিনি পাস করবেন না। কারণ উনার কোন ভোট নেই। বিএনপিতেও নেই। আওয়ামী লীগেও নেই। এজন্য আওয়ামী লীগ কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিল তাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে। যাই হোক উনি যা করেছেন, শেষ জীবনে উনি উনার কর্মফল ভোগ করবেন।

তিনি বলেন, উনি (উকিল আবদুস সাত্তার) এমন কাজ করবেন, তা যেমন আপনারা কল্পনা করেননি। দলও কল্পনা করেনি। তাই উনি উনার মতো ইলেকশন করুক, আমরা যেন কেউ ভোট কেন্দ্রে না যাই। অনেকের সঙ্গে উনার সুসম্পর্ক থাকতে পারে, পারিবারিক সম্পর্ক থাকতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্পর্কের রেশ ধরে আমরা যেন সাত্তারের পক্ষে কোন কাজ না করি। তার পক্ষে যেন একটা ভোটও না চাই।

এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশেনা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারেক জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন কেউ যেন উকিল আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কোন ভোট না দেন। এবার দল অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের উপর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপ রয়েছে। তাই আর কোন নির্বাচনে রাতের ভোট করা যাবে না। আগামী নির্বাচন ২০১৪ এবং ২০১৮ মতো হবেনা। আমরা বলে দিয়েছি আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।