তারেক-জোবাইদাকে আদালতে হাজির করতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে হাজির করতে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। তারা দু’জনই ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। আজ সেই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।

ঢাকার অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আদালতের বেঁধে দেওয়ার সময়ে তারা উপস্থিত না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলবে।

মামলাটি আমলে নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছিলেন আদালত। গত ২৬ জুন দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে করা পৃথক তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর মৃত্যুতে এ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

একইসঙ্গে হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।