বিপিএলের আগামী আসর নিয়ে বিসিবির শঙ্কা

বিপিএল যে উন্মাদন নিয়ে শুরু হয়েছিল তা ধরে রাখা যায়নি। বারবার বিপিএলের স্লট পরিবর্তন, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া বকেয়া, হুটহাট বিপিএলে বিরতি পড়া, ফ্র্যাঞ্জাইজির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি না করা ইত্যাদিকে জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ার কারণ মনে করা হয়।

চলতি বিপিএলেও বেক্সিমকোর মতো প্রতিষ্ঠান বিপিএলে দল নিতে আগ্রহ দেখায়নি। অন্য টি-২০ লিগের সঙ্গে সূচি সংঘর্ষের কারণে বড় বড় তারকারা এবারের বিপিএলে আসেননি। চলতি আসরে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে বিসিবি তিন বছরের চুক্তি করেছে। অথচ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগামী বিপিএল আয়োজন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

সোমবার সিলেটে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাঁসা সূচির কারণে বিপিএলের জন্য এক-দেড় মাসের ফাঁকা সূচি পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চলতি আসরের মতো আগামী মৌসুমেও ডিসেম্বর-জানুয়ারির স্লটটা ফাঁকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ওই সময় জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় ফাঁকা স্লটে তারা বিপিএল আয়োজন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তা আছে।

নাজমুল হাসান বলেন, ‘সামনের বছর বিপিএলের স্লটই আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। স্লট বের করাই অসম্ভব হয়ে গেছে। একটা ফাঁকা সময় পেয়েছি। যদি জাতীয় নির্বাচন হয় তাহলে আসরের মাঝে গ্যাপ দিতে হতে পারে। কারণ নির্বাচনের মধ্যে আমরা নিরাপত্তা দল পাবো কোথায়। সকলকে তো নির্বাচনে থাকতে হবে।’

বিপিএলের সিলেট পর্বে উপচে পড়া ভিড়। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরা। বিপিএলকে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খুলনা, কুমিল্লা, বরিশালে নিতে পারলে এর দর্শক জনপ্রিয়তা বাড়বে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, তাদেরও একাধিক ভেন্যুতে বিপিএল আয়োজনের ইচ্ছে আছে। কিন্তু সময় বের করা কঠিন। ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে বিপিএল ঢাকা-সিলেটে নেওয়ার সময় বের করাই কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।