যে কারণে মিয়ানমার থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে নেসলে

দীর্ঘ দিন ধরে এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এ কারণে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের একমাত্র কারখানা ও কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের বহুজাতিক ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি নেসলে।

মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রতিষ্ঠানটির টেকসই ব্যবসায়িক মডেলকে বিঘ্নিত করছে বলে মনে করছে কোম্পানিটি।

২০২১ সাল থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি ও তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে যা আরও খারাপ আকার ধারণ করে। অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য মৌলিক সরবরাহের তীব্র ঘাটতিসহ দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
নেসলের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “মিয়ানমারে নেসলের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত প্রত্যেককে সমর্থনের যথাসাধ্য চেষ্টা করব আমরা। তবে ভোক্তারা এখন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা নেসলের একই ধরনের পণ্যগুলো উপভোগ করতে পারবেন।”

মিয়ানমারে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি সেখান থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তেল জায়ান্ট টোটালএনার্জিস অ্যান্ড শেভরন (টিওটি) ও নরওয়েজিয়ান টেলিকম অপারেটর টেলিনর।

১৯৯২ সালে মিয়ানমারে ইয়াদানা গ্যাস ফিল্ড পরিচালনা শুরু করে টিওটি। প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডারও তারা। এ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্যাস থাইল্যান্ডে রফতানি করা হতো। শেভরন (সিভিএক্স) ইয়াদানাতে ছোট একটি অংশের মালিক ছিল। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উভয় সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে তারা অবনতিশীল পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমার থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া জাপানি বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিরিন মিয়ানমারের স্থানীয় প্রস্তুতকারক অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের কয়েকদিন পরই দেশটি ছেড়ে যায়। সূত্র: সিএনএন