যশোরে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় মামলা

ছোট ভাই ৫ বছরের শিশুরে মুখ ও পা কাপড় দিয়ে খাটের পায়ার সাথে বেঁধে রেখে বড় বোন ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিশুর মা মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মামলাটি করেন।
আসামি করা হয়েছে ১৫ বছরের কিশোর চয়ন হোসেনকে। সে যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার লিটন হোসেনের ছেলে। পুলিশ চয়নকে আটক করেছে।

ওই শিশুর মা এজাহারে উল্লেখ করেছে, চয়ন তার প্রতিবেশির ছেলে। তিনি ডেকোরেটর শ্রমিক। আর তার স্বামী ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তার ৯ বছরের মেয়ে একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে তিনি ও তার স্বামী ছেলে মেয়ে বাড়িতে রেখে কাজে যান। সকাল ৯টার দিকে চয়ন তার বাড়িতে যায় এবং ঘরের মধ্যে ঢুকে মেয়েকে জাপটে ধরে খাটের ওপর ফেলে দেয়। এ সময় পাশে থাকা ছোট ভাই কান্নাকাটি করলে চয়ন একটি কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধে। এরপর আরো একটি কাপড় দিয়ে খাটের পায়ের সাথে বেঁধে রাখে। মেয়েটিও চিৎকার দিলে উড়না দিয়ে তার মুখও বেঁেধ ফেলে।

পরে তাকে ধর্ষণ করে। তার মেয়ে চিৎকার করতে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চয়ন। তিনি দুপুর ১টার দিকে বাড়িতে ফিরে দেখন চয়ন ঘরের সিঁড়ির ওপর বসে আছে। পাশে তার ছেলে মেয়েও আছে। তিনি ঘরে ঢুকলে তার মেয়ে তাকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাটি আরো প্রতিবেশীরা শুনতে পায়। পরে চয়নের ভাইসহ পরিবারের লোকজন তাকে হুমকি দেয়। তিনি এই ঘটনায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
এই বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই তাপস মন্ডল জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে তিনি সেখানে যান এবং চয়নকে আটক করে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। সোমবারই আসামি চয়নকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।