সন্ত্রাসী হামলা নয়, গুলিস্তানের বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে হতে পারে: পুলিশ

রাজধানীর গুলিস্তানের বিআরটিসি বাস কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে সিদ্দিকবাজারের কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে মত দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে দেওয়া ব্যাখ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের (সিটিটিসি) বোমা নিস্ক্রিয়কারী ইউনিটের ইনচার্জ (এডিসি) রহমত উল্লাহ চৌধুরী এমনটি জানিয়েছেন।

গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ধারণার পক্ষে সম্ভাব্য ৫টি কারণ তুলে ধরেছে ডিএমপির সিটিটিসির বোমা নিস্ক্রিয়কারী ইউনিট। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী হামলা না মনে হওয়ার চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

ভবনের ধ্বংসস্তূপ, আহত ও নিহত হওয়ার ধরন দেখে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলটি মনে করছে, ভবনের বেজমেন্টের বদ্ধ কোনো কক্ষে গ্যাস জমে সেটি ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত হয়েছিল। সেখানে যেকোনো উপায়ে স্পার্ক (আগুনের স্ফুলিঙ্গ) হওয়ার পরই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য পাঁচটি উপায়ে গ্যাস জমতে পারে বলে মনে করছে তারা।

পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে-

‌১. ভবনের মাটির নিচে পানির ট্যাংক থেকে গ্যাস নির্গত হতে পারে।

২. দুটি ভবনের মাঝখানে একটি সেপটিক ট্যাংক ছিল, সেখান থেকে গ্যাস নির্গত হতে পারে।

৩. বিচ্ছিন্ন হওয়া কোনো গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস জমতে পারে বা দেয়ালে মিথেন গ্যাস জমে থাকতে পারে।

৪. পয়নিষ্কাশন লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস জমতে পারে।

৫. ভবনে থাকা বড় জেনারেটর থেকেও কোনোভাবে গ্যাস জমতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুই পাশে আরও দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এবং এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন।