যশোরে নারী দিয়ে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, মামলা

একটি সংঘবদ্ধ চক্র এক যুবতীকে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক যুবকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে ডেকে অপহরণ করে বেধড়ক মারপিট নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের ৮ সদস্যর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় রোববার ১২ মার্চ রাতে মামলা করেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে মোসাঃ সোনিয়া খাতুন (২০), একই গ্রামের আকাশ, খায়রুল বাসার,যশোর শহরের বারান্দীপাড়া (লিচুতলা) এলাকার বর্তমানে খেজুর বাগান,ঢাকা রোড (ছবুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) আমিনুল ইসলামের ছেলে মিয়া, সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা উপজেলার বুড়ির পুকুর পাড় গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলার রবিউল ইসলামার রানার ছেলে চায়না সাগর,ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নওদাগা গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া (ঢাকা রোড,সাহেব বাবুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া) আনোয়ার হোসেন (পালক পিতা) ছেলে মোঃ মর্তুজা হোসেন শুভ ও শহরের মোল্যাপাড়া (মোল্লাপাড়া প্রাইমারী স্কুলের পাশে) খোকনের ছেলে শুভ। মামলাটি করেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, মোসাঃ সোনিয়া খাতুনের সাথে বিগত ২ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদির পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে সোনিয়া বাদির মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন সময় বাদিকে বিয়ে করবে বলে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। গত ২৭ ফেব্রæয়ারী সকালে সোনিয়া খাতুন তার মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে বাদির মোবাইল নাম্বারে জানায় বাদিকে বিয়ে করবে। সোনিয়া খাতুনকে বিয়ের কাবিনের ১লাখ টাকা নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলে। বাদির কাছে লেবারদে পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা ছিল। বাদি তার কাছে ৫ হাজার টাকা আছে বলে জানায়। সোনিয়া খাতুন জানার পর ওই টাকা নিয়ে গেলেই হবে বলে জানায়। বাদি সোনিয়া খাতুনের কথায় বিশ^াস করে তার দেওয়া ঠিকানা যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা ব্যাংক পট্টি গলির মুখে গত ২৭ ফেব্রæয়ারী সকাল ৯ টা বেজে ৫০ মিনিটে পৌছায় বাদি দেখেন সোনিয়া খাতুন অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। আসামীরা বাদিকে উল্লেখিত স্থান থেকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ব্যাংক পট্টির গলির মধ্যে হাসান দর্জির বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সকল আসামীরা বাদিকে অবৈধভাবে আটক করে তার কাছে থাকা ১৭ হাজার ও ২ হাজার টাকা মূল্যের দু’টি মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা সোনিয়া খাতুন কেড়ে নেয়। বাদি প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সকলে মিয়ে বাদিকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। পরবর্তীতে বাদি ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও খোঁজ খবর নিয়ে মিয়া ও শুভ এর নাম ঠিকানা জানতে পারেন। এ ব্যাপারে আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছেন।