যশোরে শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষন ও অন্তস্বত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা

শ্যালক প্রবাসে থাকার সুযোগে লম্পট দুলা ভাই শাহীন শ্যালকের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী (২৭) কে প্রথমে কু-প্রস্তাব পরে কৌশলে ঘরে ঢুতে শিশু দুই সন্তানকে হত্যার হুমকী দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। গৃহবধূ অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ার খবর জানালে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার ১৩ মার্চ রাতে মামলাটি করেছেন,সদর উপজেলার উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। মামলায় আসামী করেছেন,ঝিনদাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের মৃত জিন্নাতের ছেলে গৃহবধূর ননদের স্বামী লম্পট শাহীনকে।

মামলায় গৃহবধূ উল্লেখ করেন, শাহীন তার ননদের স্বামী। তার স্বভাব চরিত্র ভালো না। গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারী গৃহবধূর স্বামী বিদেশ সৌদি আরবে চলে যায়। বাদি তার দু’টি সন্তান নিয়ে তার প্রবাসী স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করে। লম্পট শাহীন বাদির ননদের স্বামী হওয়ায় আত্মীয় সূত্রে বাদির বাড়িতে আসা যাওয়া কালে বাদির সরলতার সুযোগ নিয়ে বাদিকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বাদি তার প্রস্তাবে রাজী না হলে বাদিকেসহ তার সন্তানদেরকে ক্ষতি করার হুমকী দিতে থাকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ২ টায় গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়িতে থাকাকালে লম্পট শাহীন কৌশলে বাদির ঘরে প্রবেশ করে বাদির দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে জোরপূর্বক বাদিকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর শাহীন চলে যাওয়ার সমসয় বলে যায় যে, এ ঘটনার ব্যাপারে কাউকে বললে বাদির দুই সন্তানসহ বাদিকে জানে মেরে ফেলবে। এ অবস্থায় বাদি ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি। ঘটনার আগে ও পরে উক্ত লম্পট শাহীন বাদিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষন করেছে বলে বাদি দাবি করেছেন। এমতাবস্থায় বাদি অন্তস্বত্বা হয়ে পড়লে লম্পট শাহীনকে জানালে শাহীন বাদিকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। শাহীনের ভয়ে জীবন রক্ষার্থে বাদি তার সন্তানদের নিয়ে গত ৬ মার্চ সকাল ১১টায় বাপের বাড়ি চৌগাছা উপজেলায় চলে যায়। গৃহবধূ ঘটনার ব্যাপারে তার মা ও ভাবীকে জানালে তারা চৌগাছা উপজেলার এক চিকিৎসকের কাছে গৃহবধূকে নিয়ে যায়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে গৃহবধূ ২২ মাস ৪ দিনের অন্তস্বত্বা বলে জানায় এবং রিপোর্ট দেয়। এমতাবস্থায় বাদি তার সন্তানদের ও তার জীবন নাশের সংশয়ে আছে বলে জানায়। লম্পট শাহীন যে কোন সময় বাদি ও তার সন্তানদের যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে বাদি আশংকা প্রকাশ করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ লম্পট শাহীনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছেন।