যশোরে এক বছর সাজা দিয়ে ও শর্তে প্রবেশনে মুক্তি

যশোরে গ্রাফিক্স ডিজাইনার রমজানুল ইসলাম সিয়ামকে এক বছরের সাজা দিয়ে বাড়িতে বসে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের দৃশ্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আকিয়ে জমা দেয়ার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রবেশন কর্মকতাকে ওই ছবি যশোরের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে ওই ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার ১৪ মার্চ সকালে অতিরিক্ত দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রমজানুল ইসলাম সিয়াম বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। একই মামলায় আরেক আসামি অভয়নগর উপজেলার পোড়াখালী গ্রামের মৃত আক্কাস গাজী শেখের ছেলে শাহিন আলমকেও একাধিক শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্টপক্ষের এপিপি জ্যোৎ¯œা সাহা পুতুল ও শ্যামল কুমার মজুমদার। তারা জানিয়েছেন দুজনেই দোষ স্বীকার করায় আদালত তাদেরকে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্বাবধানে বাড়িতে থেকেই সাজাভোগ করার সুবিধা প্রদান করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৪ রাত ১০ টা ২০ মিনিটে তাদেরকে আটক করে যশোরের সদর পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ মামলা চলাকালে আসামিরা দোষ স্বীকার করে নিজেদের সংশোধনের সুযোগ প্রার্থনা করেন। একই সাথে এধণের কাজ থেকে বিরত থাকতে প্রতিজ্ঞা করেন। তার প্রেক্ষিতে বুধবার আদালত দুইজনকেই এক বছর করে সাজা প্রদান করে ১০ শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন।

উল্লেখযোগ্য শর্তগুলোর মধ্যে শাহিনের নিজের বাড়ি ও সরকারী রাস্তার পাশে গাছ লাগাতে হবে। লিগ্যাল এইড সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া সিয়ামের শর্তের মধ্যে রয়েছে তিনি বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের দৃশ্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আকাবেন যা প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে জমা দিবেন। পরে ওই চিত্র যশোর জেলায় বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রদর্শনীতে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন প্রবেশন কর্মকর্তা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন এই তিনটি বই পড়বেন।