যশোর মহাসড়কে রাস্তার দু’ধার ট্রাক ও বাস রেখে দখল

উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার যশোর ঝিনাইদহ,খুলনা,মাগুরা সড়কে যত্রতত্র বালি বোঝাই ট্রাক,বাস রেখে ফুুটপাতসহ সরকারি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রাখায় প্রতিনিয়ত যানজটে জন জীবনে নাভিশ^াস হয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া, যানজট নিরসনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের জন্য করা ট্রাফিক আইল্যান্ড রাজনৈতিক ব্যানারে দখল করে রাখায় ট্রাফিক পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করলেও যানজট নিরসনে চরমভাবে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সদস্য ও জনসাধারণ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধবার ১৫ মার্চ বিকেলে যশোর উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিবেদক বাইক নিয়ে শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রাফিক পুলিশ অভিযোগ করেন, তারা প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকি নিয়ে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে যশোর মাগুরা,খুলনা,জেলরোড ও ঝিনাইদহ সড়কের সংযোগ স্থনে ট্রাফিক আইল্যান্ড রয়েছে। ট্রাফিক আইল্যান্ডে বছর খানেক পূর্বে জনৈক ব্যক্তি বিল বোর্ড তৈরী করে ট্রাফিক আইল্যান্ডের কার্যক্রম বিনষ্ট করেন। এরপর জেলা প্রশাসনের নজরে আসলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোহার খুঁটি দিয়ে তৈরী করা বিলবোর্ড অপসারণ করে সেখানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ সম্বলিত প্যানা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। যাতে লেখা ছিল এখানে কেউ কোন সাইন বোর্ডসহ কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। আদেশক্রমে জেলা প্রশাসন লেখা সম্বলিত সাইন বোর্ড রাতারাতি উধাও হয়ে ট্রাফিক আইল্যান্ড দখল করে যুবলীগ পরিচয় এক যুবক তার ছবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবির সাথে প্যানা বোর্ড সৃষ্টি করে ট্রাফিক আইল্যান্ড পুলিশের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ন অকার্যকর সৃষ্টি করেছেন। যার ফলে উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রতিদিন সকাল থেকে দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগেই থাকে। সরেজমিনে যেয়ে দেখাগেছে,খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মাগুরা ঢাকা মহাসড়কের দু’পাশে বালি বোঝাই ট্রাক,খালি ট্রাক, ওই সড়কে চলাচলরত বাস রাস্তার পশ্চিম ও পূর্ব পাশ দখল করে ফুটপাতসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারী ও ট্রাফিক আইল্যান্ড বিহীন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। মাগুরা সড়কের ন্যায় ঝিনাইদহ,খুলনা সড়কের রাস্তার দু’পাশ বিভিন্ন বাস রাস্তা দখল করে পথচারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত চলাচলরত পথচারীরা যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।