১১ ওভারে লজ্জাজনক হার ভারতের

১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হল মাত্র ৩৭ ওভারে। আগে ব্যাট করতে নেমে স্টার্ক ঝড়ে ২৬ ওভারে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে মাত্র ১১ ওভারে ১০ উইকেটে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের ইনিংসে বল বাকি ছিল আরো ২৩৪টি। ওয়ানডেতে বল বাকি থাকার দিক থেকে এটিই ভারতের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার। এর আগে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ম্যাচ হেরেছিল ৮৮ বল বাকি থাকতে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে বুধবার চেন্নাইয়ে।

টস হেরে মাঠে নেমেই বাজে ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসে স্বাগতিকরা। দলীয় ১ রানে শুভমান গিলের উইকেট হারায় ভারত। এরপর রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দলীয় ৩২ রানে রোহিত ও সূর্যকুমারের জোড়া উইকেট হারায় ভারত।

খাতাই খুলতে পারেননি শুভমান গিল ও সূর্যকুমার যাদব। রোহিত শর্মাও সাজঘরে ফেরেন ১৩ রান করে। কেএল রাহুল করেন ৯ রান। স্টার্ক ছাড়াও ভারতীয় ব্যাটারদের নাকানি-চোবানি খাওয়ায় শন অ্যাবট ও ন্যাথান এলিসরা। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিয়ে ভারত ৪৯ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।

দলীয় ৯১ থেকে ১০৩ রানে মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ৩৯ বলে ১৬, কুলদীপ যাদব ১৭ বলে ৪ ও মোহাম্মদ শামি রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল। মিচেল স্টার্ক ৫৩ রান খরচায় শিকার করেছেন ৫ উইকেট। শন অ্যাবটের ৩ উইকেটের সঙ্গে নাথান এলিস পান দুটি।

জবাবে মাত্র ১১ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই সেই রানটা তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৬৬ রান করেন মার্শ। যিনি ৩৬ বলে ইনিংসে ছ’টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন। অন্যদিকে, ৩০ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ট্র্যাভিস হেড। যিনি কোনও ছক্কা না মারলেও ১০ টি চার মারেন।