নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ার অঙ্গীকার শি-পুতিনের

নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ার অঙ্গীকার করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন শি জিনপিং।

বুধবার সকালে তিনি মস্কো ছাড়েন। খবর তাস নিউজের।

চীন সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা এই সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ঊর্ধ্বে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও মানবতার ভবিষ্যতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মস্কো ছাড়ার আগে পুতিনকে শি বলেন, ১০০ বছরে যা ঘটেনি সেই পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা একত্রিত, তখন এই পরিবর্তন আমরাই আনি।

‘আমি একমত,’ বলেন পুতিন। তখন শি বলেন, দয়া করে, নিজের দিকে খেয়াল রেখো বন্ধু।

কিন্তু প্রকাশ্যে দুই নেতার মন্তব্য ছিল অনেকটাই সুনির্দিষ্ট। পুরো সফরে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উল্লেখ করার মতো কিছু বলেননি চীনা প্রেসিডেন্ট। শুধু বলেছেন, চীনের অবস্থান ‘নিরপেক্ষ’।

ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারে মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শির এই সফরের সময় নিয়েও সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এই সফর আয়োজনে। গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাখ্যানে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে বেইজিং।

শি জিনপিংয়ের অধীনে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। গত মাসে ইউক্রেন নিয়ে একটি শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরেছে দেশটি। পশ্চিমারা এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছে, এই পরিকল্পনা কেবল রাশিয়াকে নিজেদের সেনাবাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করার সুযোগ দেবে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ মুহূর্তে কোনো যুদ্ধবিরতি মূলত রাশিয়াকে নিজেদের পুনরায় সংগঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও সুযোগ দেওয়া।

এই শান্তি পরিকল্পনার জন্য শি জিনপিংয়ের প্রশংসা করেছেন পুতিন এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য কিয়েভ ও পশ্চিমাদের সমালোচনা করেছেন। ইউক্রেন সতর্কতার সঙ্গে চীনা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বেইজিংকে আহ্বান জানিয়েছে, ইউক্রেনের নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনাটি বিবেচনার জন্য। শির সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

সূত্র: রয়টার্স