বেনাপোলে ভ্রমণ কর জাল করছে একটি চক্র, নীরব কর্তৃপক্ষ

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস ইমিগ্রেশনে সরকারী ভ্রমণ কর ফাঁড়ির হিড়িক পড়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ না থাকার কারনে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফা ভারগামী যাত্রীরা সরকারের ৫ শত টাকার ভ্রমণ কর ফাঁকি দিয়ে ভারত যাতায়াতের সময় বন্দরের নিরাপত্তা স্থানীয় লোকদের হাতে নাতে ধরা পড়া সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এতে করে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধিরা।

ভারতীয় নাগরিক ভ্রমণ কর ফাঁকির আগে স্থানীয় একটি কম্পিউটার থেকে এই ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ার পরও কাস্টমস বা ইমিগ্রেশন কর্তপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা জানা সত্বেও দায় এড়িয়ে যায়। অপরদিকে সম্প্রতি ভারতীয় ৫ নাগরিক একসাথে ভ্রমন কর ফাকি দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় ধরা পড়ে হাতে নাতে। তারা সরকারী ৫ শত টাকার ভ্রমন কর ও বেনাপোল স্থল বন্দরের ৫২ টাকার বন্দর ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে ধরা পড়ে। এরপর তাদের ব্যাংক,কাস্টমস, বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের জামাই আদরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে বেনাপোল চেকপোষ্টে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার আনাগোনা দেখা গেলেও ভ্রমণ কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা বা রিপোর্ট দিতে দেখা যায় না। আর দিলেও এ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। তবে জাতিয় গোয়েন্দা সংস্থার ফিল্ড অফিসার সফিকুর রহমানকে মাঝে মাঝে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস এর মধ্যে ল্যাগেজ তল্লাশি করতে দেখা যায়। যদিও ল্যাগেজ তল্লাশি তার কাজ নয়। তাকে দেখা যায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ল্যাগেজ স্কানিংয়ে ঢুকার সাথে সাথে যেটা সন্দেহ হয় নিজে টানা হেঁচড়া করে একটি কক্ষে পাঠায়।

পাসপোর্ট যাত্রী নির্মল সেন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস চেকপোষ্টে কোন প্রকার হয়রানি বাদে আমরা যাতায়াত করি। এখানে তারা আইন অনুযায়ী কোন পণ্য আনলে তা ছেড়ে দেয়। এবং নিয়ম বহির্ভুত পণ্য আনলে সরকারী বিধি অনুযায়ী ট্যাক্স করেন অথবা ডিএম করেন। আমরা এই পথে ভারত গমন স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।

বেনাপোল চেকপোষ্টের একটি চক্র যে ভ্রমণ কর ফাঁকি দেয় এবং কয়েক দফা কয়েকজন ধরা পড়লেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রসঙ্গে কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মাদ হাকিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু আইনি জটিলতা থাকায় সব সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য ইনকাম ট্যাক্সের লোক থাকার প্রয়োজন।